কা মা ল লো হা নী
সাগর-র“নী দুটো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক-রিপোর্টার ছিলেন। সুনামও অর্জন করেছিলেন কাজের কারণে। সততার সঙ্গে ব¯‘নিষ্ঠ সাংবাদিকতাই তারা করতেন। ওরা রাস্তায় দুর্ঘটনা কিংবা পুলিশের পিটুনিতে মারা যাননি। রাজধানী শহরে নিজের ফ্ল্যাটেই দু’জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে দুর্বৃত্তদের হাতে। যে পুলিশ যখন-তখন সাংবাদিকদের পেটাতে ব্যস্ত এবং ‘সাংবাদিক পেটালে কিছু হয় না’ জানে, সেই ‘কর্মক্ষম’ পুলিশ-র্যাব, গোয়েন্দারা তাদের হত্যাকারীদের ধরতে তো পারেইনি, খোঁজও দিতে পারছে না। হাইকোর্ট যে রিপোর্ট চেয়েছে, তাও কি ঠিকমতো দেয়া হ”েছ?
দীপংকর চক্রবর্তী, মানিক সাহা কিংবা হুমায়ুন কবীর বালু ও আরও অনেককেই মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাতে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়েছে। তাদেরইবা কী হয়েছে? তবে সাগর-র“নী হত্যাকাণ্ডকে অনেকেই পরিকল্পিত বলে মনে করছে। শোনা কথা, গুর“ত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহই নাকি করেছিলেন ওরা। তাই তাতে র“ষ্ট যারা, তারাই তাদের হত্যা করিয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ড তো আর ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেরা করে না। ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে কাজ খতম করে। এক্ষেত্রে অনেকেই শুনি বলছেন অনুমান করে, ওভাবেই নাকি সাংবাদিক দম্পতিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কারা খুনি, তা খুঁজে বের করতে ব্যর্থ সব এজেন্সি। কিš‘ কেন? এতগুলো এজেন্সি, এত সব কঠিন রহস্য পর্যন্ত উদঘাটন করে ফেলছে, এটা কেন পারছে না? তখনই তো সাধারণ সচেতন মানুষের মধ্যেও সন্দেহের উদ্রেক করছে। আমরা দীর্ঘদিন রাজনীতি ও সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত থাকা সত্ত্বেও বুঝতে পারছি না, তারা কেন পারছে না রহস্য উদ্ঘাটন করতে? অনেকেই বলছেন, ‘সর্ষেয় যদি ভূত’ থাকে, তবে হবে কী করে? আবার কেউ কেউ বলাবলি করছেন, কাজটা যাদের দিয়ে সংশ্লিষ্টজনরা করিয়েছে, তারা সেদিনই তাদের বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। টিকিট-ফিকিট নাকি আগেই করা ছিল। তাহলে তারা নিশ্চয়ই কারও বা সন্ত্রাসী-ভাড়াটিয়াদের কথা বলছে। এর কোনটাই কেন নিরাপত্তা বাহিনীর পারঙ্গম অফিসার বা গোয়েন্দা দল বের করতে পারল না? তবে কি ‘ইন্টারেস্ট’ কাজ করছে এর পেছনে?
সাগর-র“নী দু’জনেই ভালো রিপোর্টার ছিলেন। দু’জন কর্মরত ছিলেন দুটি বড় টেলিভিশনে। তারা কেন বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া করছে না। কেবল র্যাব-পুলিশের ওপর নির্ভর করলেই কি এর ফয়সালা হয়ে যাবে? সাংবাদিকরাই শুধু আন্দোলন করে যা”েছন। আর বিরোধী দল এর সুযোগ নিয়ে রাজনীতির ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ক্ষমতাসীন দল ও নেতৃবৃন্দ এমনকি প্রধানমন্ত্রী ‘আনপ্যালাটেবল’ মন্তব্য করছেন। যার ফলে জনসাধারণ্যে সন্দেহ নানা শাখা-প্রশাখায় গজিয়ে উঠছে। এটা বর্তমান সরকারকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করার পথ রোধ করে দি”েছ। সাংবাদিকদের বেডর“ম পাহারা দিতে কেউ কাউকে বলেছে বা সাংবাদিক ইউনিয়ন দাবি করেছে বলে আমার জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ কেন এমন ক্ষিপ্ত হলেন, অমন মন্তব্য করলেন? এটা কিš‘ এই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কেউ আশা করেনি। বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আল্লার মাল আল্লাহই নিয়ে গেছে’। ওরা এমন বলতেই পারেন। কারণ জনগণের সঙ্গে থেকে লড়াই-সংগ্রাম করে ওরা তো রাজনীতিতে আসেননি। ওরা জনগণের দুঃখ, মা-বাবার সন্তান হারানোর বেদনা বুঝবেন কেমন করে? প্রধানমন্ত্রীর মনে কষ্ট আছে মা-বাবা, ভাই, ভ্রাতৃবধূসহ অগণিত পৈশাচিক হত্যার প্রত্যক্ষ যন্ত্রণা ভোগের। একবার ভাববেন কি প্রধানমন্ত্রী, ওই শিশু মেঘের মনটা কেমন করছে সেদিনের বিভীষিকাময় রাতের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে!
তাই এ হত্যাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অমন মন্তব্যে সবাই বিচলিত হয়েছেন। আমরা সাংবাদিকরা অবশ্যই কোন সরকার, সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীকে কারও ‘বেডর“ম’ পাহারা দিতে বলি না। বলি দেশের ভেতর সেই শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে, যে পরিবেশে এমন নৃশংস সন্ত্রাসী কাণ্ডকারখানা ঘটতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী, আপনি তো এমন অনেক হত্যাকাণ্ডে ছুটে গেছেন ক্ষতিগ্রস্তের বাড়ি পর্যন্ত। সান্ত্বনা দিয়েছেন, বুকে টেনে নিয়েছেন স্ত্রী-সন্তানদের। এতে তাদের যন্ত্রণা অনেকটাই লাঘব হয়েছে। কিš‘ এক্ষেত্রে আপনি এমন নিষ্ঠুর মন্তব্য কেন করলেন বুঝতে পারলাম না। এই আপনিই তো নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর মন্ত্রিসভা গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা শুর“র সময়ই পিলখানার নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল। তখন তো সুযোগ বুঝে বিরোধী দল নানা চক্রান্ত শুর“ করেছিল এমনকি সেনাবাহিনীর মধ্যেও উস্কানি দিতে চেষ্টা করেছিল। কিš‘ আপনি আপনার সহকর্মী ও রাজনৈতিক অন্য সহযোগী নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তর“ণ সেনা অফিসারদের বিষোদগারকেও মোকাবেলা করেছেন। সান্ত্বনা জানিয়েছেন। বিপুল ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন এবং অব্যাহত সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিয়েছেন। সেখানে তো আপনি অমন ‘অযৌক্তিক উ”চারণ’ করেননি। কেন? কারণ, যাদের হত্যা করা হয়েছে, তারা দেশের সম্পদ।
একথা তো সুস্পষ্টভাবেই আমরা জানি, সেনাবাহিনী একটি সুশংখল, সংঘবদ্ধ, প্রশিক্ষিত বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান গৌরবগাথা হয়ে রয়েছে। তাই তো জাতির সাত বীরশ্রেষ্ঠই সেনাবাহিনীর। আপনি তো জানেন, মুক্তিযুদ্ধ শুর“ই করেছিলেন এদেশের জনসাধারণ। কতিপয় বিশ্বাসঘাতক, কুলাঙ্গার ধর্মান্ধ অপশক্তি এর বিরোধিতা করেছিল। তাছাড়া সব কৃতিত্বই জনগণের। আজও কিš‘ সেই মূল্যায়ন করা হয়নি। এদেশের সাংবাদিক সমাজ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন কোন বাহিনী নয়, কিš‘ ইতিহাসের পাতা উল্টালেই অধ্যায়ের পর অধ্যায় চোখে পড়বে কী প্রচণ্ডভাবে এই সুশিক্ষিত সাহসী কলমযোদ্ধারা পাকিস্তানি দুঃশাসনের বির“দ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং ওই ২৩ বছরের দুঃশাসনে কত না নিপীড়ন-নির্যাতন, শোষণ-বঞ্চনা, জেল-জুলুম এমনকি হত্যা ও হত্যার শিকার হয়েছিল তবু তারা দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে পাকিস্তানিদের বির“দ্ধে লড়াই করে গেছেন। দেশে রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক সংঘবদ্ধতাও এক প্রবল শক্তি ছিল সব আন্দোলনে। সুসংগঠিত সাংবাদিক ইউনিয়ন যে অবদান রেখেছিল সেই পাকিস্তান জমানায়, এমন নজির কি আর আছে ছাত্র, শ্রমিক জনতা ছাড়া? কিš‘ তারা কি কোন প্রাপ্য চেয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী, আপনি সরকারপ্রধান। দেশচালিকার সর্বো”চ শক্তি। আপনি একবার বিবেচনা করে দেখুন, ইতিহাস পাঠ কর“ন, দেখবেন কত লাঞ্ছনা-গঞ্জনাই না সহ্য করতে হয়েছে সাংবাদিক সম্প্রদায়কে। আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়াও জাতীয় সংকট-দুর্যোগ, প্রাকৃতিক বৈরী পরি¯ি’তি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ভাষা আন্দোলন থেকে শুর“ করে দেশমাতৃকার মুক্তিসংগ্রামÑ সব লড়াইয়ে সাংবাদিকরা ছিলেন অন্যতম প্রধানশক্তি। আজও তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে দিবস-রজনী কাজ করে যা”েছন। অথচ আজ তারাই নির্মম শিকার চক্রান্তের, সন্ত্রাসের, দুর্ঘটনারও। দেশে সরকার থাকলে এসব ঘটনার সমাধান তো তাদেরই করার কথা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর মতো সর্বো”চ আসনে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব যদি ‘বেডর“ম পাহারা’ দেয়ার মতো উক্তি করেন, তখন আমরা সাংবাদিকরা যাই কোথায়? তাও তিনি যদি হন শেখ হাসিনা?
দীপংকর, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবীর বালু, সাগর-র“নীÑ এমন আরও অনেকে খুন হয়েছে সন্ত্রাসী-চক্রান্তকারীদের হাতে। তাদের কেন বিচার হয় না? দেশে যখন ‘গণতান্ত্রিক’ নয় কেবল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার থাকে, তখন তো এমন অবিচার, চক্রান্ত, দুর্বৃত্তায়ন আশা করি না। অন্তত যে মামলা হয়েছে বা পরিবার যে সাহস দেখিয়েছেÑ তারা তো আইনের বিচার চেয়েছে, আর কিছুই চায়নিÑ তবে কেন অনীহা, অবিচার আজও অব্যাহতভাবে চলছে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পিলখানার নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, যেখানে একসঙ্গে ৫৮ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, তার বিচার কিš‘ শুর“ হয়ে গেছে। জওয়ানদের, বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের বিচার হ”েছ, শাস্তি হ”েছ। কিš‘ কেন একই সরকার জনগোষ্ঠীর সচেতন সাংবাদিক সমাজের ‘হতভাগ্য’ সদস্যদের বিচার তো দূরের কথা, তদন্ত করে কোন হদিস পা”েছ না? এ কি এতই দুরূহ ব্যাপার? তাহলে সরকারের নানা গোয়েন্দা, নিরাপত্তা এজেন্সি আছে কেন? এরা তো এই জনগণের অর্থেই লালিত-পালিত। সে জনগণের অংশ সাংবাদিকরাও।
সাংবাদিকরা ‘গঙ্গার জলে ধোয়া তুলসীপাতা’Ñ এ কথা আমি বলব না। কারণ গণবিরোধী, সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরাও এই সম্প্রদায়ে আছে। তাই তো এদেশের আরেক ‘মহান নেত্রী’ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের বিভক্ত করে দুটি ইউনিয়ন বানিয়ে দিলেন। সেই থেকেই সাংবাদিক সম্প্রদায় বিভাজিত। একে অপরের বির“দ্ধে লেগেই থাকে। ফলে সংবাদপত্রগুলোতে মালিকরা ইউনিয়ন গঠন করতে দেয় না। সব পত্রিকায় ইউনিয়ন এখন আর আগের মতো নেই। শুধু ‘ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ’ ঘোষণা করাই তো সরকারের কাজ নয়। কে বাস্তবায়ন করল, তাও তো সরকারের দেখা প্রয়োজন। সে ধরনের মনিটরিং সেল সরকার গঠন করেছে বলে জানি না। ইউনিয়ন যদি ‘বার্গেনিং’ এজেন্ট হিসেবে সর্বত্র থাকত, তাহলে সরকারেরও সুবিধা হতো এবং সংবাদপত্র মালিক ও কর্মচারীদের জন্য সু¯’ পরিবেশ থাকত। ঘরেই ‘বার্গেন’ করার অধিকার যাদের নেই, তারা কী করে পুলিশ তথা সরকারের কাছ থেকে তাদের অধিকার আদায় করবে? ইউনিয়ন শক্তিশালী হলে সংবাদপত্র জগতের অধিকার, সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতাও সংরক্ষণে লড়াই করা সম্ভব হতো।
পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের চিরশত্র“তা। এ আজ নয়, সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতা পত্তনের পর থেকেই এই ক্ষমতার দাপট পুলিশ দেখিয়ে যা”েছ। ব্রিটিশ আমলে কিংবা পাকিস্তানি শাসনামলেও আমরা সাংবাদিক ইউনিয়ন সংগঠিত শক্তি হিসেবে কাজ করেছি বলেই যার মালিকানাধীনই হোক না কেন, আমরা দেশমুক্তির লক্ষ্যে বহু সংগ্রামের সঙ্গেই সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। দু’একটি পত্রিকা যে বিরোধিতা করেনি, তাও নয়। কিš‘ ইউনিয়ন ছিল ঐক্যবদ্ধ, তাই সব সদস্যই ছিলেন একমতের। আজ সেই সংঘবদ্ধতা নেই। ফলে মালিক-শ্রমিক উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হ”েছন। সংবাদপত্র এখন যেন রাজনীতির দলীয় প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হ”েছ। আগে এমন ছিল না। তাই সংবাদপত্র নয়, সাংবাদিকরাই পুলিশের শ্যেন দৃষ্টিতে পড়েন সব সময়, বিশেষ করে রিপোর্টার আর ফটোগ্রাফার-ক্যামেরাম্যানরা।
পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা এখন অবাধে অঘটন ঘটিয়ে যা”েছ কিš‘ তার প্রতিকার কেউ, কোন সরকারই করছে না। খালেদা জিয়া তো ইউনিয়নই ভেঙে দিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করেছেন। কিš‘ বর্তমান সরকারই বা কেন প্রতিকার করছে না? সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশের হাতে নিগৃহীত হওয়া যেন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডগুলোর কোন সুরাহা হয়নি বলেই তো এসি শহীদুল বলতে পেরেছে, ‘পেটা শালা সাংবাদিকদের, সাংবাদিক পেটালে কিছু হয় না।’ সত্য কথাই বলেছে ওই ‘সন্ত্রাসী এসি’। ফটোগ্রাফারদের নির্মমভাবে পেটানোর পর সরকারি ভাষায় ‘প্রত্যাহার’ করা হয়েছিল ওই এসিকে, আর কনস্টেবলদের সাময়িক বরখাস্ত। পরে দেখলাম, এসিকে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ‘ক্লোজড’ আর থাকেনি, ‘ওপেন’ হয়ে গেছে। তাহলে ওর বাড়াবাড়ি বাড়বে বৈ কমবে কেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আপনারা ক্ষমতায় আছেন বলেই পুলিশের সাফাই গাইবেন না। আপনারা যখন ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন এরা কী করবে, এখন বুঝতে পারছেন না।
পুলিশকে ‘জনগণের সেবক’ বললেই হবে না। তাদের মোটিভেট করে সেবক বানাতে হবে। না হলে তারা প্রশ্রয় পেয়ে আরও অঘটন ঘটাবে। অতীতে সাংবাদিকদের হেন¯’া, পিটুনি, গ্রেফতার, মামলা দেয়াÑ কতই না করেছে পুলিশ, কিš‘ খুব একটা শাস্তি হয়নি। এবারও দেখা যাবে, দিন বয়ে যাবে, অথচ কিছুই হবে না। যাতে এমন আচরণ পুলিশ না করে সেজন্য নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন, যা সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে বসে করলে তারাও বাধ্য থাকবে মানতে। সাংবাদিকদের প্রতি আচরণ না পাল্টালে রাষ্ট্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কামাল লোহানী : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন