পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৪ মে, ২০১২

অকারণ বচসা সৃষ্টি করে কী লাভ


কামাল লোহানী


ব্যারস্টিার রফকি উল হক। প্রবীণ আইনজীবী। র্দীঘদনিরে আইন ব্যবসায় অভজ্ঞি এক বাংলাদশেী নাগরকি। এই বয়সওে তনিি ব্যবসাই শুধু চালাচ্ছনে তাই নয়, ‘আদ্বীন’ নামরে একটি সবো প্রতষ্ঠিানরেও মালকি। সে এক বশিাল প্রতষ্ঠিান। হবে নাইবা কনে? যে বপিুল অঙ্ক তাঁর আয়, তনিি জময়িে রখেে করবনেটা ক?ি তাই ন্যায়নষ্ঠি মানুষ হসিবেে তা জনগণরে কল্যাণইে ব্যয় করছনে। সত্যইি কি বশিাল হৃদয় মানুষটা! আইনজ্ঞ হসিবেে তনিি বশে স্বনামখ্যাত তো বটইে। তনিি দারুণ নরিপক্ষে, পক্ষ- বপিক্ষরে হয়ে আইনরে ব্যাখ্যা প্রদান করে বচিারকদরে সামনে যুক্তর্তিক উপস্থাপন করে কাজটা হাসলি করনে বা করতে পারনে বলে সবাই তাঁকে যত বরিাট অঙ্কই হোক পতেে চান। র্কোটে তাঁর যশ-খ্যাতি সবই আছ।ে এই যুক্তর্তিকে যাঁদরে বজিয়ী করে মামলা ফয়সালা করে দনে তাঁরা তাঁকে প্রচ- মান্য করনে। এইসব মামলা মোকদ্দমার খবর লোকমুখে ছুটে বড়োয়, আবার সংবাদপত্ররে রপর্িোটাররে বদৌলতওে চাউর হয়ে যায় চর্তুদকি।ে তাই তাঁর মন্তব্য, বক্তব্য, ভাষণ কংিবা যুক্তর্তিকরে চমক সর্ম্পকে সকলে জাননে। শুনলে প্রীত হন। কউেবা উল্লসতি হন। কউে আবার ক্ষুব্ধ হয়ে থাকনে।
রববিার ১৩ মে সংবাদপত্রে প্রকাশতি তাঁরই এক বয়ানরে শরিোনাম করছেনে ‘বোঝনে আমরা কত বড় বকেুবরে দশেে আছ।ি’ ফটো র্জানালস্টি এ্যাসোসয়িশেন মলিনায়তনে গত শনবিার তাঁর এক একক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। গুম, অপহরণ, রাজনতৈকি পরস্থিতিি নয়িে বক্তৃতা করতে গয়িে প্রবীণ আইনজ্ঞ ঐ মন্তব্য করছেনে। এ আয়োজন করছেলি মুক্তচন্তিা ফোরাম নামে একটি সংগঠন। ওরা মানবাধকিাররে পক্ষে কাজ কর।ে বাহ, চমৎকার এই উদ্যোগ! তাঁর বক্তৃতার বষিয়বস্তু শুনে আগ্রহভরে ঐ সভায় উপস্থতি ছলিনে কাদরে সদ্দিকিী এবং মজের জনোরলে (অব) সয়ৈদ মোহাম্মদ ইব্রাহমি বীরপ্রতীক। ওঁরা ব্যারস্টিার সাহবেরে সঙ্গে সংহতি জানাতইে নাকি এসছেলিনে। মারহাবা মারহাবা। গুম, অপহরণ সর্ম্পকে তনিি কথা তো বলতইে পারনে, কারণ তনিি তো আইনজীবী। এসব নয়িে মামলা-মোকদ্দমা হলে তো তাঁকে বা তাঁর সহযাত্রীদরেই পক্ষ-েবপিক্ষে লড়তে হবে নজি নজি মক্কলেকে জতোবার জন্য। এটাই স্বাভাবকি।
কন্তিু নোবলে বজিয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সর্ম্পকে দু’তনি জন মন্ত্রী যে মন্তব্য করছেনে তার কঠোর সমালোচনা করতে গয়িে ব্যারস্টিার হক যে ভাষায় র্বতমান সরকাররে দু’জন মন্ত্রী সর্ম্পকে অশালীন মন্তব্য করছেনে তা সত্যইি অবমাননাকর। তবে কবেল মন্ত্রী হসিবেে ব্যক্তরিই নয়, এঁরা দুজনাই স্ব স্ব ক্ষত্রেে র্অথাৎ রাজনতৈকি জীবনে স্বনামখ্যাত এবং অভজ্ঞি। এঁদরে ড. ইউনূসরে সঙ্গে কোন্ বোধে তুলনা করছেনে বুঝলাম না। তনিি সয়ৈদ আশরাফুল হকরে মন্তব্য নয়িে মনে হয় বশে মস্করা করছেনে। উল্লখ্যে, সয়ৈদ আশরাফ ইউনূসরে ‘নোবলে’ পাওয়া নয়িে বলতে গয়িে মন্তব্য করছেনে, “কোন যুদ্ধ বন্ধ না করইে তনিি শান্ততিে নোবলে পলেনে। নোবলে কভিাবে আসে তা আমাদরে এখানে অনকেইে জাননে। এ মন্তব্যে বজোয় খাপ্পা হয়ছেনে ব্যারস্টিার সাব। তনিি তো সাফসুতরা খাস দলিরে মানুষ, তাই আল্লাহর বান্দা কারও মনে কষ্ট হোক, তা তনিি চান না। তাই তনিি বলছেনে, (ব্যারস্টিার হকরে মন্তব্য) : তনিি একবোরে হাসরি কথা বলছেনে। একজন মন্ত্রী যদি বলনে, ড. ইউনূস যুদ্ধ থামালনে কবে যে শান্ততিে নোবলে পাবনে। একটি বড় দলরে নতো ও মন্ত্রী যদি বলনে, নোবলে পতেে হলে যুদ্ধ থামাতে হব।ে তাহলে বুঝুন, আমরা কত বড় বকেুবরে দশেে আছ!ি”
আমি শ্রদ্ধয়ে ব্যারস্টিার রফকি উল হককে জজ্ঞিসে করতে চাই, তনিি তো আইনরে লোক, এসব নয়িইে নাড়াচাড়া করনে। তনিি কি দখোতে পারবনে যসেব কারণে দশেে অশান্তি সৃষ্টি হয়, অতীতে হয়ছেÑে তার কোন ঘটনার বরিুদ্ধে প্রতরিোধে তো নয়ই, প্রতবিাদে ‘টু’ শব্দটি করছেনে? বশ্বিব্যাপী ষাটরে আমরেকিা যুদ্ধ, যুদ্ধাতঙ্ক, যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদন ও দশে-েবদিশেে বক্রি,ি আর রাষ্ট্র-েরাষ্ট্রে নানা ধরনরে বরিোধ বাঁধয়িে যে মানুষ হত্যার র্কমকা- চালাচ্ছে এর কোন ঘটনা, র্দুঘটনার বরিুদ্ধে কোন মন্তব্য, বক্তব্য, প্রতবিাদ, ববিৃতি আদৌ দয়িছেনে? দশেরে ভতেরে যসেব অপঘাত. সংর্ঘষ, সন্ত্রাস চলছে বা অতীতে চলছলি, তার কোন প্রতবিাদ তনিি করছেনে? যে গুম, অপহরণ, রাজনতৈকি পরস্থিতিি নয়িে তনিি নজিে একক বক্তৃতা করতে গয়িছেলিনে সগেুলো নয়িে কি তাঁর কোন প্রতবিাদ জনগণ তো দখেনেইি, ব্যারস্টিার সাহবে কি দখেছেনে? ব্যারস্টিার সাহবে আপনি কি লক্ষ্য করছেনে ঐ ‘অমূল্য’ নোবলে পাবার পর ড. ইউনূস দশেে কটি সংর্বধনা পয়েছেনে এবং বদিশেে কত? এই ‘নোবলে পুরস্কার’ পাবার আগে এবং পররে ঘটনাপঞ্জি ঘঁেটে দখেলওে বুঝতে পারতনে কতটা ‘বকেুব’ বানয়িছেনে ড. ইউনূস দশেরে মানুষক!ে
যে কারণে ব্যারস্টিার হক প্রলুব্ধ ড. ইউনূসরে অবদান নয়িে বশিষে করে গ্রামীণ ব্যাংক বষিয়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রসঙ্গে হয়তবা। ব্যারস্টিার সাহবে নশ্চিয়ই জাননে, গ্রামীণ ব্যাংকরে ক্ষুদ্রঋণ নয়িে কত শত পরবিার র্সবস্বান্ত হয়ছেনে? 
ব্যারস্টিার রফকি উল হক নজিকেে ‘যোগ্য’ ভাবছনে বলে কি অন্যকে অযোগ্য বলতে একটুও দ্বধিা করনে না। ব্যারস্টিার রফকি উল হক যমেন যোগ্য আইনজ্ঞ তমেনি অনকেইে আছে যোগ্য অথবা যোগ্যতম ব্যক্তত্বি এদশে।ে সবাই তো আর যোগ্যতার বচিার করার জন্য দায়ত্বি পালন করনে না। তনিি কি করে মন্ত্রী দলিীপ বড়ুয়াকে ড. ইউনূসরে ‘নখরে সমানও নয়’ বলে দাড়ি পাল্লায় দাঁড় করালনে। দলিীপ একজন মন্ত্রী এবং সাম্যবাদী দলরে প্রধান। মন্ত্রী হসিবেে তাঁর যোগ্যতা শল্পিশ্রমকি, শল্পিমালকি এবং সরকাররে প্রশাসনরে সংগঠন নশ্চিয় যাচাই করছ।ে দলিীপ ছাত্রজীবন থকেে প্রগতশিীল গণতান্ত্রকি আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছলিনে সক্রয়িভাবে এবং পাকস্তিানবরিোধী লড়াই সংগ্রামে আজীবন সংগঠক সনৈকি হসিবেে কাজ করছেনে। তাঁর যোগ্যতা নয়িে প্রশ্ন তুলে হক সাহবে কি তাঁকে খাটো করতে পরেছেনে, নাকি তাঁর নজিরে যে ইমজে তারই ক্ষতি করছেনে? দলিীপ বড়ুয়ার সঙ্গে রাজনতৈকি ফারাক থাকতে পার,ে তাই বলে তনিি যে এ দশেরে মুক্তি সংগ্রামে আজীবন সম্পৃক্ত ছলিনে তা তো অস্বীকার করা যাবে না। সে তুলনায় ড. ইউনূসরে কি তাঁর তুল্য যোগ্যতা আছ?ে বরঞ্চ ফখরুদ্দীন, মঈনউদ্দনিরে অবধৈ শাসনামলে তাঁকে দয়িে রাজনতৈকি দল গঠনরে যে প্রক্রয়িা চালাতে চষ্টো করছেলি ঐ সময়রে সামরকি-তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাতে তনিি তো ‘লজ্জাজনক’ভাবে অযোগ্য প্রমাণতি হয়ছেনে। তাহলে প্রশ্ন উঠে নাকি কসিরে যোগ্যতা ধরছেনে বচিাররে নক্তিি হসিবে?ে তবে তনিি শল্পিমন্ত্রীর ক্ষত্রেে শ্রদ্ধা রখেইে নাকি বলছেনেÑ নখরে যোগ্যও নয়। কি অসাধারণ মারপ্যাঁচরে কথা। শ্রদ্ধাভরে একজন মন্ত্রী ও রাজনতৈকি নতোকে অপমান করার চমৎকার কৌশল! তবে হক সাহবে এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রসিভার সকল সদস্যকে অবমাননা করছেনে, আপনি ভালই জাননে ‘জুতো মরেে গরুদান’ করার বাক্যট।ি এখানে অবশ্য ব্যারস্টিার রফকি আগে শ্রদ্ধা জানয়িে পরে অশ্রদ্ধা জাহরি করছেনে। ব্যারস্টিার রফকি মন্ত্রীদরে উদ্দশেে সবক দয়িে বলছেনে, ‘সম্মানতি ব্যক্তদিরে সম্মান জানালে নজিদেরে সম্মানও বাড়।ে’ এই বাক্যটি কি ব্যারস্টিার হকরে বলোয়ও খাটে না?
ড. ইউনূসকে নয়িে নোবলে পুরস্কার পাবার পর দশেরে বরণ্যে প-তি, লখেক-সাংবাদকিরাও বহু লখো লখিছেনে। তখন কি মন্তব্য করছেলিনে সমালোচকদরে বরিুদ্ধ?ে আমার অবশ্য খয়োলে পড়ছে না। এবার হঠাৎ ব্যারস্টিার রফকি এত কনে ক্ষপেে গলেনে বুঝতে পারলাম না। আমরা কি সত্যইি বকেুবরে দশেে বাস কর,ি ব্যারস্টিার সাহবে? না হলে বরিোধীদলীয় নত্রেী খালদো জয়িা যখন বলনে, ‘আওয়ামী লীগ আগামী ৪২ বছরওে আর ক্ষমতায় আসবে না।’ কংিবা ‘সাগর-রুনীর হত্যার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরবিার জড়তি’ বলে উল্লখে করে গাজীপুররে কাপাসয়িার জনসভায় বলনে, তখন কনে ব্যারস্টিার রফকি কোন মন্তব্য করনে না। এই যে মন্তব্য করার ক্ষত্রেে ভন্নিতা তা কি র্বতমান সরকাররে প্রতি বরৈী মানসকিতাই প্রকাশ পায় না? কারণ র্বতমান সরকার কংিবা মন্ত্রীদরে কারও কারও র্ব্যথতার ক্ষত্রেে যতটা সোচ্চার, ততটা তাঁকে বরিোধী দলরে র্কাযক্রমকে সমালোচনা করতে দখো যায় না। এই যে হরতাল হয়ে গলে, তাতে যে ৬ ব্যক্তরি মৃত্যু হলো, সে সর্ম্পকে কি তনিি কছিু বলছেনে? না বলে থাকলে কনে বললনে না? হরতালওয়ালাদরে প্রতি এত মমত্ববোধ কনে তাঁর? তবে হ্যাঁ ‘হাসনিা নোবলে পাওয়ার জন্য ঘুষ দয়িছেনে’ বলে বএিনপ’ির এখনও ভারপ্রাপ্ত মহাসচবি র্মীজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করছেনে তার নমি সমালোচনা করে ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়াস পয়েছেনে। কন্তিু তা যোগ্যতার বচিারে কন্তিু সমান হয়ন।ি ওটা বোধহয় একতরফা হচ্ছে ভবেে উল্লখে করছেনে। না, আমরা বুঝতে পরেছেি আপনার মনরে ইচ্ছা।
খালদো জয়িা ‘৪২ বছর’ কোন রাজনীতরি হসিবেে এমন মারাত্মক মন্তব্য করে ফলেলনে? আদৌ কি ভবেে বলছেনে? নাকি ভোটরে আবগেে গরম গরম বক্তৃতা দয়োর সুযোগ নয়িছেনে? ব্যারস্টিার রফকিরে মতো খালদো জয়িাও কি ‘বকেুব’ ভবেছেনে দশেরে মানুষক?ে যা বলবনে, বাংলার মানুষ তাই মনেে নবেনে। এমন বকেুব ভাবার কোন কারণ নইে, দশেরে সাধারণ মানুষকে যতই ব্যারস্টিার রফকি বকেুব বানাবার চষ্টো করুন না কনে। ব্যারস্টিার রফকি হয়ত বলতে পারনে তনিি জনগণকে বলনেনি ব্যক্তকিে বোঝাতে চয়েছেনে। তনিি বুদ্ধমিান আইনকৌশলে পারর্দশী, হয়ত তারই চমৎকারত্বিে শব্দটাকে বক্তৃতার বাক্যে ব্যবহার করছেনে। 
রাজনীতবিদি না হলওে যে কোন মানুষই রাজনীতি বোঝনে। তবে সবাই রাজনীততিে আসতে চান না। তাই বলে ক,ি দশেকে ভাল বাসনে না, এ কথা বলতে পারব? যমেন, ‘রাজনীতি করনে না বোধহয় ব্যারস্টিার সাহবে তারপরও কন্তিু রাজনীতÑি সরকার রাজনতৈকি আচরণ সর্ম্পকে তাঁর মত প্রকাশ করনে মাঝে মধ্যইে। সঠকি হোক বা বঠেকি হোক কংিবা উদ্দশ্যেপ্রণোদতি, লোকে যখন কাগজে পড়নে, তখন কন্তিু তাঁর মন্তব্য নয়িে মানুষও ভাবনে। ঐ যে ভাবনা এটাও কন্তিু রাজনীত।ি আমাদরে দশেরে মানুষ রাজনীতি বোঝনে। করনেও অনকে।ে তাদরে কন্তিু বকেুব ভাবলে নজিকেইে ‘বকেুব’ হতে হব।ে
তাই সবশষেে মাননীয় প্রধান আইনজ্ঞ ও ব্যারস্টিার রফকি উল হককে বলব, দশেবাসী সাধারণ মানুষকে অবজ্ঞা করবনে না। এ দশেটা আমাদরে, এই দশেরে অগণতি মানুষরে রক্তরে বনিমিয়ইে কন্তিু বাংলাদশে আজ প্রতষ্ঠিতি। অস্থরি অশান্ত হবার কারণ ওই যে চহ্নিতি যুদ্ধাপরাধীদরে শাস্তি না দয়ো এবং যথাসময়ে না দয়ো, মান্যবর, সইেসব সময়ে আপনার বজ্ঞি মন্তব্য, পরার্মশ কোথায় ছলি? তখন তো আপনি আরও তজেী থাকবার কথা। সইে সময় যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে পরার্মশ দতিে পারলনে না কনে? আপনি যদি দশেকে সত্যইি ভালবাসনে তবে যে কোন সরকারই হোক তাকে সৎ পরার্মশ দনি। কটু মন্তব্য করে অকারণ বচসা সৃষ্টি করে কংিবা পুরনো কাসুন্দী ঘঁেটে কি লাভ?
লখেক : সাংস্কৃতকি ব্যক্তত্বি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন