পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ২১ মে, ২০১২

বাহাউদ্দীন ভাই আপনাকে শষে সালাম


কামাল লোহানী
বাহাউদ্দীন চৌধুরী বুধবার ১৬ মে ২০১২ সন্ধ্যা ৭টায় মগবাজাররে কমউিনটিি হাসপাতালে শষে নঃিশ্বাস ত্যাগ করছেনে। মৃত্যুকালে এই ভাষা সংগ্রামী, লড়াকু সাংবাদকি এবং রাজনীতবিদি বাহাউদ্দীন চৌধুরীর বয়স হয়ছেলি ৮১ বছর। অশীতপির র্কমী-সংগঠক বাহাউদ্দীন চৌধুরী বরশিালরে খ্যাতমিান উলানয়িার জমদিার পরবিাররে সন্তান হয়ওে সব সময় সহজ-সরল জীবনযাপন করে গছেনে। অবসরজীবনে কংিবা বয়োবৃদ্ধকালে বাহাউদ্দীন ভাই কতবার যে কমউিনটিি হাসপাতালে গছেনে তার হসিবে নইে। তাদরে সবো যতœে, চকিৎিসায় সব বারইে ভাল হয়ে চলার মতোন সুস্থ শরীর নয়িইে ফরিে এসছেনে। সে কবেল কমউিনটিি হসপটিালরে পরচিালক ডা. কামরুজ্জামান এবং তাঁর সহযোগীদরে নরিলস চকিৎিসা সবোর কারণইে। আর একজনার কথা না বললইে নয়। সে হলো বহুবছর আগে লঞ্চে চলার সময় ক্রন্দনরত একটি ছোট্ট ময়েকেে পয়েছেলিনে মীনা আপা আর বাহাউদ্দীন ভাই। তাঁদরে কাছইে মানুষ হয়ছেনে এই কন্যাসম আঁখি চৌধুরী। থাকনে গুলবাগ।ে তনিইি তাঁর বাবাকে দখোশোনা করতনে এবং তাঁর কাছইে থাকতনে। ময়েটেরি বয়িে দয়িছেলিনে বাহাউদ্দীন ভাই ও মীনা আপা। ওর দুটি ময়ে।ে ওরা তাদরে নানার জন্য ব্যস্ত থাকত সব সময় আর বাহাউদ্দীন ভাইও ওদরে এত ভালবাসতনে যে কোথাও গলেে ওদরে দু’জনার জন্য একটা কছিু অবশ্যই নয়িে আসতনে।
মীনা চৌধুরী ছলিনে তাঁর স্ত্রী, তনিি এ্যাডমনিস্ট্রিটেভি স্টাফ কলজেরে প্রথম মহলিা পরচিালক ছলিনে। এক দায়ত্বিশীল সরকারী র্কমর্কতা ও বজ্ঞি প্রশক্ষিক হসিবেওে মীনা আপা র্অথাৎ প্রফসের আমনিা চৌধুরী সমধকি জনপ্রয়িতাও র্অজন করছেলিনে। তাঁদরে দুই পুত্র। একজন থাকে লন্ডনে অন্যজন নউিইর্য়ক।ে বাহাউদ্দীন ভাইয়রে শষেকৃত্য সম্পন্ন হয় বনানী কবরস্থান।ে রববিার রাষ্ট্রীয় র্মযাদায় বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জমদিারতনয়, সাংবাদকি ব্যক্তত্বি, রাজনতৈকি সৎর্কমী এবং অজাতশত্রু ভাষা সংগ্রামী বাহাউদ্দীন চৌধুরী কনে এমন নরিবিলিতিে দনিে দনিে মৃত্যুর পথে চলে গলেনে, তনিি অবশ্যই প্রচারবমিুখ ছলিনে। অথচ এই মহৎপ্রাণ মানুষটইি কন্তিু নবপ্রতষ্ঠিতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকাররে তথ্য মন্ত্রণালয়রে প্রথমে যুগ্মসচবি এবং পরে ভারপ্রাপ্ত সচবি ছলিনে। এখানে একটি প্রশ্ন জাগ,ে বাহাউদ্দীন ভাই তো র্দীঘ ৭/৮ বছর ধরইে অসুস্থ ছলিনে। সঙ্কটাপন্ন হলইে কমউিনটিি হাসপাতালে র্ভতি হতনে। একটু সুস্থবোধ করলইে বাসায় চলে যতেনে। এভাবইে ঐ আগে যাদরে কথা উল্লখে করছে,ি তাদরে দখেভালইে কাটয়িে গলেনে। এর মাঝখানে মৃত্যুর আগরে দনি মন্ত্রী লতফি সদ্দিকিী তাঁকে দখেতে গয়িছেলিনে। কছিুদনি আগে একুশে চতেনা পরষিদরে সভাপতি আহমদ রফকি তাঁর ভাষা সংগ্রামরে সহযোদ্ধাকে দখেতে গয়িছেলিনে। কন্তিু তাঁর রাজনতৈকি ভূমকিা, সাংবাদকিতায় অবদান সত্ত্বওে কে বা কারা, এমনকি তথ্য মন্ত্রণালয়রে দায়ত্বিপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা র্কমর্কতা কউে কি চোখরে দখো দখেতে গয়িছেলিনে? এ নয়িে অবশ্য তাঁর কোন অভযিোগ ছলি না। অভমিান থাকলওে কোনদনি প্রকাশ করনেন।ি তনিি তো র্বতমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংগঠনরে সঙ্গে ঢাকা মহানগর এবং কন্দ্রেীয় নতেৃত্বওে ছলিনে। যে ‘ছয় দফা’ নয়িে এত র্গব এটি প্রণয়নে এবং আওয়ামী লীগরে কাউন্সলি মটিংিয়ে উত্থাপনওে তনিি সক্রয়ি ভূমকিা পালন করনে।
এ দশেরে ব্রটিশি সাম্রাজ্যবাদবরিোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী কমউিনস্টি সংগঠক কমরডে আব্দুস শহীদ ছলিনে তাঁর শ্রদ্ধয়ে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাবোধরে প্রমাণ মলিছে,ে শহীদ ভাইয়রে স্মরণ সভায় বাহাউদ্দীন ভাইকে নয়িমতি উপস্থতি থাকতে দখেে এমনকি অসুস্থ থাকলওে হাসপাতাল থকেে অনুষ্ঠানস্থলে গয়িে হাজরি হতনে। শুধু কি তাই, র্সবস্বত্যাগী আব্দুশ শহীদরে পরবিার যখন সরকারী রোষানলে পড়ছেলি, তখন প্রায় অশীতপির এই অসুস্থ মানুষটকিে কি উদ্বগ্নিই না দখেছে,ি বহুকষ্টে শহীদ ভাইয়রে স্ত্রীর বহুকষ্টে বানানো অসমাপ্ত দোতলা ছোট্ট বাড়টিা রক্ষা করার জন্য। লখিছেনে কাগজ,ে অনুরোধ করছেনে সরকারক।ে সংশ্লষ্টি প্রতমিন্ত্রী যখন শহীদ ভাইয়রে বাড়ি পরর্দিশনে গয়িছেলিনে তখন বাহাউদ্দীন ভাইও ছলিনে। তাঁর হাত ধরইে তো প্রতমিন্ত্রী কথা দয়িছেলিনে, এ বাড়ি ভাঙ্গা হবে না। সে বাড়ি অবশ্য অবশষেে হাতরিঝলি প্রকল্প র্কতৃপক্ষ ভঙ্গেইে দয়িছে।ে তখন তাঁর কি না পারার কংিবা র্ব্যথতার অনুশোচনা লক্ষ্য করছে,ি তা ভুলবার নয়।
ভাষা আন্দোলনরে সূচনা সইে ১৯৪৮ সাল থকেইে। আর বাহাউদ্দীন চৌধুরী তখন থকেইে সংগ্রামীযোদ্ধা। তখনকার র্পূব পাকস্তিানে সচবিালয় অবরোধে যে প্রতরিোধ সংগ্রামরে সূচনা, সখোনইে বাহাউদ্দীন ভাইয়রে আবর্ভিাব। এ সময় তনিি ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে ছাত্র এবং ভারতীয় কমউিনস্টি র্পাটি সর্মথতি ছাত্র ফডোরশেনরে একজন সক্রয়ি র্কমী। আর্দশরে তাগদিইে অন্যায়রে বরিুদ্ধে রুখে দাঁড়য়িছেলিনে এবং গ্রফেতার হয়ছেলিনে। পুলশিী নর্যিাতনে তাঁর বাঁ হাত ভঙ্গেে যায়। অবশষেে মডেক্যিাল র্বোডরে নর্দিশে অনুযায়ী তাঁকে কারামুক্ত করা হয়। কন্তিু ১৯৪৯ সালে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয় চর্তুথ শ্রণেী র্কমচারীদরে আন্দোলনরে সর্মথনে তাঁদরে সঙ্গে যোগ দয়োয় আবার গ্রফেতার হন। ৬ মাস পর মুক্তি পয়েছেলিনে। সাংবাদকিতার জীবনে প্রবশে করছেলিনে ছাত্রাবস্থায় সইে ৪৯ সালইে। তখন ইনসাফ নামে একটি দনৈকি পত্রকিা নবীনদরে সাংবাদকিতায় হাতখেড়রি জায়গা। বাহাউদ্দীন ভাই সহসম্পাদক হসিবেে ইনসাফে যোগা দনে। পরে চলে আসনে দনৈকি সংবাদ।ে কন্তিু আওয়ামী লীগরে অন্যতম প্রধান সংগঠক ইয়ার মোহাম্মদ খান ও সুহৃদরা মলিে যে পত্রকিা প্রকাশ করনে তার নাম ‘দনৈকি ইত্তহোদ’। এর সম্পাদক ছলিনে কাজী মোহাম্মদ ইদরসি এবং র্বাতা সম্পাদক বাহাউদ্দীন চৌধুরী। এই পত্রকিাটি তখনকার চলমান পত্রকিা প্রকাশনায় এক নতুন ধারা ও রুচি এবং পাঠকগ্রাহ্য পরবিশেনায় আলোড়ন সৃষ্টি করছেলি। কন্তিু এর কছিুদনি পরইে ১৯৫৬ সালে তনিি সরকারী চাকরি গ্রহণ করে দল্লিীতে পাকস্তিান দূতাবাসরে র্ফাস্ট সক্রেটোরি (প্রসে) পদে যোগদান করনে। কন্তিু একটা কথা বলে রাখা দরকার, তা হলো বাহাউদ্দীন চৌধুরী সাংবাদকিদরে লড়াই সংগ্রাম করে দাবি ও অধকিার র্অজনরে সংগঠন র্পূব পাকস্তিান সাংবাদকি ইউনয়িনরে একজন সংগঠক এবং ঢাকা প্রসেক্লাব (যাকে এখন জাতীয় প্রসেক্লাবরে র্মযাদায় অভষিক্তি করছে)ি এর প্রতষ্ঠিাতা সদস্য ছলিনে। 
আজকালকার নাট্যমোদী র্কমী সংগঠক কংিবা সংস্কৃতি মনস্কদরেও জানা প্রয়োজন য,ে পাকস্তিানরে সইে মুসলমি লীগ শাহীর র্দুবষিহ যন্ত্রণাদায়ক অভযিান বাঙালী দমন এবং ভাষা সাহত্যিকে অবমাননার যে চক্রান্ত করে ১৯৪৮ সালইে শুরু করছেলি, তাকে উপক্ষো করে যমেন বাংলাভাষার র্মযাদার জন্য জীবনপাত করতে দ্বধিা করনেন।ি বাংলাদশেরে র্অথাৎ তৎকালীন র্পূব পাকস্তিানরে সকল মানুষ, তমেনি সাহত্যি সংস্কৃতকিে পদদলতি করতওে ঐ শাসকচক্র উঠপেড়ে লগেছেলি। কন্তিু সকল রক্তচক্ষু উপক্ষো করে বাংলার অমতিতজে তরুণ ছাত্রসমাজ দশে মাতৃকার সম্মান রক্ষায় যমেন বুকরে তাজা রক্ত ঢলেে দয়িছেলি, তমেনি সচতেন প্রগতশিীল গণতান্ত্রকি শক্তওি তখন থকেইে সংগঠতি হয়ছেলিনে দশেরে লোকজ ঐতহ্যি ও র্পূব পুরুষদরে রখেে যাওয়া সাংস্কৃতকি উত্তরাধকিার সংরক্ষণ।ে এই অভযিাত্রার একজন উদ্যোগী পুরুষ ছলিনে আমাদরে শ্রদ্ধয়ে বাহাউদ্দীন ভাই। তাই সাংবাদকিদরে উদ্যোগে পঞ্চাশরে দশকইে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে র্কাজন হলে মঞ্চস্থ করছেলিনে ‘নীল র্দপণ’ দীনবন্ধু মত্রিরে অনন্যসাধারণ নাটকট।ি পরচিালনা করছেলিনে তনিইি। তনিি অভনিয়ও করছেলিনে এই নাটকটতি।ে তখনকার দনিে ময়েরে ভূমকিায় ছলেদেরেই অভনিয় করতে হতো। একে কউে ময়েদেরে নাটকে আসবে দতিনে না। তমেনি আবার রাজনতৈকি নাটককে এড়য়িে চলতনে অনকেইে। 
তাই র্কাজন হলে ‘নীল র্দপণ’ নাটক মঞ্চায়ন ছলি এক বপ্লৈবকি ঘটনা, তাও আবার সাংবাদকিদরে উদ্যোগ, সম্ভবত, দুই তনিজন বাদে সাংবাদকিদরে অভনিয়ইে। নাটকে হয়ত পরর্বতীকালে আর কখনও সাংবাদকিতার গুরুদায়ত্বি পালন করার কারণে কোন ভূমকিা রাখতে পারনেন।ি কন্তিু দশেীয় সংস্কৃতি বকিাশে তনিি বভিন্নি সাংস্কৃতকি সংগঠনরে সঙ্গে সম্পৃক্ত ছলিনে এবং সক্রয়ি সহযোগতিা প্রদান করতনে। 
বাহাউদ্দীন ভাই পাকস্তিান কন্দ্রেীয় সরকাররে পররাষ্ট্র বভিাগে দায়ত্বি পালন করছেনে কন্তিু বশেদিনি টকিে থাকতে পারনেন।ি কন্দ্রেীয় উপ-সচবিরে পদর্মযাদায় যথন তনিি আইনমন্ত্রী বচিারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহমিরে একান্ত সচবি হসিবেে দায়ত্বি পালনকালে সামরকি সরকাররে চাকরি থকেে পদত্যাগ করে সাংবাদকিতায় ফরিে আসনে। ন্যায়বচিার কামনা এবং অন্যায়রে প্রতবিাদ করা ছলি তাঁর মানসকিতা। পরর্বতীকালে তনিি আওয়ামী লীগরে রাজনীততিে সক্রয়ি হন। আইয়ুবী সামরকি শাসনরে পর আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবতি করা থকেে শুরু করে ৬ দফা প্রণয়নওে ভূমকিা রখেছেনে বাহাউদ্দীন চৌধুরী। দল পুর্নগঠনে কাউন্সলি আয়োজন থকেে ‘ছয়দফা’ প্রস্তাবনা র্পযন্ত সে সক্রয়ি ভূমকিা তনি পালন করছনে। তাঁর মাধ্যমে তনিি শখে মুজবিুর রহমানরে ঘনষ্ঠি সান্নধ্যিওে চলে আসনে। বাহাউদ্দনি ভাই সরাসরি মুক্তযিুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে না পারলওে অবরুদ্ধ বাংলাদশেে গোপনে সক্রয়ি ও সরাসরি সর্মথন অব্যাহত রখেছেলিনে নানাভাব,ে কারণ তাঁর মানসকিতা ছলি মুক্তযিুদ্ধরে পক্ষ।ে বাংলার মানুষ এবং নজি মাতৃভূমকিে মুক্ত করার আকাক্সক্ষা তাঁকে র্সবক্ষণ সচল রখেছেলি। তাই তো আমৃত্যু তনিি মানবমুক্তি এবং সাধারণ মানুষরে কল্যাণ চন্তিায়, অসুস্থতা সত্ত্বওে দনি কাটয়িছেনে। কোথাও কোন অন্যায় দখেলইে তনিি তাঁর কলমরে মাধ্যমে প্রতবিাদে সোচ্চার হয়ে উঠছেনে। 
একটি দৃষ্টান্ত নজিরে অভজ্ঞিতা থকেে দচ্ছি।ি প্রখ্যাত কমউিনস্টি ও সাংবাদকি শক্ষিক আবদুশ শহীদ মারা যাবার পর তাঁর পরবিার যে অসমাপ্ত একটি বাড়তিে মাথা গােঁজার ঠাঁই করে নয়িছেলিনে। তার ওপর কনে জানি না রোষবহ্নি পড়ল হাতরিঝলি প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কতৃপক্ষ রাজউক, গণর্পূত এমনকি সরকারে ‘লাল পতাকা’ উড়য়িে দয়ো হলো বাড়তিে র্অথাৎ এ বাড়ি ভাঙ্গা হব।ে অথচ এই বাড়টিি এই প্রকল্পরে নক্সার ভতের ছলি না। কন্তিু ভোজবাজরি মতো কোত্থকেে হঠাৎ করইে চলে এল। কত যে কাকুতি মনিতি করা হলো, প্রতমিন্ত্রী না ভাঙ্গার প্রতশ্রিুতি দয়িে গলেনে, কন্তিু তারপরও অমন নষ্ঠিুর নর্দিশে ও নম্নির্পযায়ে ধমক-হুমকি এমনকি প্রচ- র্দুব্যবহার চলতইে থাকল। আবদুশ শহীদরে স্ত্রী ভাঙ্গার সদ্ধিান্ত নলিে ‘আমরণ অনশন’ করবনে জীবনরে শষে সম্বল ও আবদুশ শহীদরে স্মৃতি রক্ষা করত।ে বসলনে প্রসেক্লাবরে সামন।ে আমরা অবাক হয়ে দখেলাম সহর্মমতিা ও একাত্মতা প্রকাশরে জন্য অসুস্থ বর্পিযস্ত বাহাউদ্দীন চৌধুরী গয়িে বসছেনে শহীদ ভাবরি পাশ।ে এ বাড়টিি ভাঙ্গাকে তনিি অন্যায়, অধকিার হরণ ভাবতনে বলে এই প্রতরিোধওে নামতে দ্বধিা করনেন।ি আমাদরে সহস্র চষ্টোয়ও সরকাররে মন গলল না। অবশষেে ভঙ্গেে ফলো হলো বাড়টি।ি বাহাউদ্দীন ভাই প্রচ- ব্যথা পয়েছেলিনে একটি গণতান্ত্রকি মুক্তযিুদ্ধরে সরকারে এমন সদ্ধিান্ত।ে দুঃখ প্রকাশ করবনে কার কাছ,ে বুকে চপেে রখেছেলিনে। বাড়টিি গলে, তনিওি চলে গলেনে ক’মাসে পরইে। 
মুক্তযিুদ্ধরে যে প্রখর চতৈন্যবোধ তাঁর ভতের কাজ করত, তা আজ ক’জনার মধ্যে কাজ কর?ে যে মানুষটি ছাত্রজীবনে ভাষা আন্দোলন থকেে নবপ্রতষ্ঠিতি বাংলাদশেরে জন্য আপন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে দশেইে মৃত্যুর প্রহর গুনলনে সাংবাদকিতা, ৬ দফার অন্যতম সংগঠক, সাংস্কৃতকি পরমি-ল হয়ে মুক্তসিংগ্রামরে সকল অধ্যায়ে তাঁকে মৃত্যুকালে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানাতওে সংশ্লষ্টিদরে র্কাপণ্য অনুসন্ধান মুক্তযিোদ্ধা তালকিার। ভাগ্যসি মহাজোট সরকার ছলি, তাই বুঝি শষে সালামটুকু পলেনে তনি।ি না পলেে কি থকেে যতেনে ঐ সম্মানরে জন্য? না। জীবনওে এমন মানসকিতা দখোননি তনি।ি যদি দখোতে পারতনে তবে তাঁকে তাঁর স্ত্রীর ক্যান্সার চকিৎিসার জন্য র্সবস্ব বক্রিি করত হতো। ব্যবসা প্রতষ্ঠিান বর্সিজন দতিে হতো। মৃত্যুকালে স্বজনদরে থকেে দূরে পালতি কন্যা কংিবা সন্তানতুল্যদরে কাছ থকেইে শষে বদিায় নতিে হতো? 
বাহাউদ্দীন ভাই আপনাকে আমরা যর্থাথ সম্মান ও প্রাপ্য মূল্যায়ন করতে র্ব্যথ হয়ছেি বলইে আপনাকে প্রাণ দতিে হলো, তবে অনাদরে বলব না, কারণ কমউিনটিি হাসপাতাল, মামুন, আঁখ,ি শহীদ ভাইয়রে পরবিার তো ছলিনে, এই আমাদরে সান্ত¡না। জীবদ্দশায় যাঁকে মনে করনি,ি তাঁকে মরণরে পর কদনি স্মরণে রাখব, সে আশ্বাস মথ্যিা, প্রতশ্রিুতি আপনাকে দবে না। তবে আপনার সাহস অনমনীয়তা কছিু মানুষরে তো মনে থাকবইে। 
লখেক : সাংস্কৃতকি ব্যক্তত্বি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন